কবিতা -জীবন মানে যুদ্ধ,
কবি -কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
এ জীবনে অবিরাম সংগ্রাম আনে পরাজয়,
করুন আঘাতে বক্ষ টাকে করে দেয় ক্ষয়।
অধীরে ভেবে জীবন তিলে তিলে শেষ হয়,
ভেঙ্গে পড়ে হৃদয় মন শুন্যতার বিষন্নতায়।
কতো ভুলের সমাহার আছে জীবনের খাতা ভরে
তখন দুঃখ গুলো অশ্রু হয়ে দুই নয়নে ঝরে।
বেদনা গুলো বিষাদ হয়ে বুকে জমে থাকে অবিরত
বারে বার করে প্রাণের আকুতি মনের বাসনা যতো।
দুঃখ কষ্টে থাকে না সে হৃদয়ে আবেগ অনুভূতি,
কতো আশা আকাঙ্ক্ষা মুকুলেই ঝরে যায় গতি।
ক্ষত বিক্ষত জীবন নিয়ে কাঁদে পড়ে বেদনায়
কোনো সুখ তো ফিরে আসে না ভাঙ্গা এ হৃদয়।
পথ হারা পথিকের মত দিশাহারা নিসফল আর্তনাদ
এই ভুবনে সুখের আবেশে নেই বাঁচার কোনো স্বাদ।
কেউ দেখে ও দেখে না মুখ ফিরিয়ে দুরে চলে যায়
এ জীবন থমকে যায় নিদারুণ সংঘাতে ও সুসময়।
ঐ কাতর স্বরে কষ্টের বীণা আমি অবিরাম শুনি
চাতক পাখির মতো বৃক্ষের ছায়ে কষ্টের ভাষা বুনি।
এ জীবনে কতো কাতর যন্ত্রনা দুঃখ দুর্দশার ক্রন্দন
ছিন্ন করে স্বার্থপর হয়ে পৃথিবীর মানুষ হৃদয়ের বন্ধন।
এ জীবন খাতার কষ্ট গুলো প্রকাশ হয় না খবরে
বয়ে যায় কতো ঝড় প্লাবন এই হৃদয়ের অগোচরে।
চারিদিকে শুধু জীবনের গল্প নিয়ে করে সমলোচনা
এই সামান্য কথার জন্য হচ্ছে পাহাড় সমান গুনা।
কবিতা -মোর রুপসী বাংলা,
কবি -কারিমা খাঁন দুলারী
এই রুপসী বাংলা মোর সোনার চেয়ে খাঁটি
সোনার ফসল উর্বর করে এই বাংলার মাটি।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই অপরুপ গাঁয়ে
মোরা শিশিরে ভেজা ঘাসে হাঁটি খালি পায়ে।
ঐ মাঠ ভরা পাকা ধানের ঘ্রাণে ছুটে আসি
রাখালের বাঁশির সুর আমি কি যে ভালোবাসি।
সবুজে ঘেরা গ্রাম কি অপরুপ দেখার নেই শেষ
এ যে প্রিয় জন্মভূমি মোদের বাংলাদেশ।
ফূলে ফুলে ভরে আছে মোর প্রকৃতির ঐ বনে
কি যে শোভা ছড়িয়ে পড়ে ঐ পাখিদের গানে।
নিপুণ ঠোঁটে বাসা বাঁধে পাখিরা মনের মত করে
ঐ গোধূলি লগ্নে ঝাঁকে ঝাঁক ফিরে আসে নীড়ে।
মোর দেশের কৃষক কৃষাণি জাগে ভোর বিহানে
কত সুখে বসত করে সুখে আনন্দ করে জীবনে।
মোর গাঁয়ে কলসি কাঁখে বধু ঐ জল ভরিতে যায়
মাঝিদের গান শুনে বধু বারে বার পিছু ফিরে চায়।
এই হেমন্তের দিনে ফোঁটে কৃষকের মুখে মৃদু হাঁসি
সোনার ফসল ঘরে তুলে কৃষকের মনে খুব খুশী।
ভোরের আলো ঐ গগনে সূর্য ওঠে যেন হেঁসে
ঐ কানুনে ফোঁটে ফুল প্রকৃতির মধুর পরশে।
এই ফাগুনে ককিল ডাকে শুনি কুহু কুহু সুরে
হৃদয় মন উতলা করে ছুটে আসি নদীর তীরে।
গাড়ীয়াল ভাইর গরুর গাড়ি আজও চলে গাঁয়ে
প্রাণ মোর উদাস হয় ঐ বৃক্ষের শীতল ছায়ে।
কবিতা -প্রতারক পায়না দিশা।
কবি -কারিমা খাঁন দুলারী
একটা মনে কয় জনের স্থান দিতে পারে।
অবশেষে কেউ থাকে না,ঐ ছলনার অন্তরে।
যতোই কর মজা তুমি,শুন্য তোমার জীবন।
কষ্টে কাতর হয়ে, স্মৃতি গুলো করে স্মরণ।
ঐ জীবনে কোনদিন হয় না, কখনও কভু সুখ।
অবিরাম অবিরত লেগে থাকে শুধু দুঃখ।
মন নিয়ে খেলা করে,ভাবে হবে না মোর কিছু।
একদিন দেখবে ঐ জীবনে থাকে না কেউ পিছু।
আনন্দ উল্লাসে করে যায় প্রতারণা।
বুঝতে পারে না তার জীবনে কেউ থাকবে না।
নিত্য নতুন মেয়ে পেয়ে,করে ফোন আলাপ।
ঐ জীবন পাপের ভরা, শুধু কুঁড়ায় অভিশাপ।
ভালোবেসে আপন করে,বলে দিবো জীবন।
তুমি ছাড়া শুন্য হৃদয়, বিষন্ন এই ভুবন।
ভুলে গেছে সব মানুষ, ক্ষমা নেই যাররা পরিমাণ।
কতো মেয়ে কে আশা দিয়ে,করছে অপমান।
পালা ধরে আসে তাঁর মিষ্টি কথা শুনে।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে,সে নতুন স্বপ্নের বাসর বুণে।
এই ভাবে চলে যায় জীবনের সব দিন।
নিপুণ ভাবে চাষ হয় না ঐ বুকের জমিন।
আর্তনাদ আর হাহাকার, থাকে জীবন ভরে।
জীবন্ত কবর হয় তাঁর,ঐ মন মন্দিরে।
নিঃস্ব করে স্বাদের জীবন, হাজার মনের যন্ত্রণা।
কেউ থাকে না কাছে তার,কে দিবে শান্তনা।
ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ভুগে অকালে মরে।
অবশেষে জায়গা হয় না,ঐ অন্ধকার কবরে।
বয়স কম বলে ভেবনা, তোমার হবে না মরণ।
ধুঁকে ধুঁকে কেঁদে সে, স্মৃতি গুলো করবে স্বরণ।
অবলা নারী সব নির্যাতনের হয় শিকার।
এমন পুরুষ কে আমি,দিয়ে থাকি ধিক্কার।
প্রেমের আবেগ অনুভূতিতে,করে যায় আনন্দ।
ঐ জীবনে নিস্তার নেই,সব পথ চির বন্ধ।
বোঝেনা কতো অভাগী বোনের কষ্ট ভরা মন।
প্রতারনার শিকার হয়ে, সে কাঁদে সারা জীবন।
মনে হয় কথা শুনে, ভালো তার বংশ।
মিথ্যে প্রবঞ্চনায় জীবন করে দেয় ধ্বংস।