শিরোনামঃ সাধুবাদ
কলমেঃ রনী খাতুন
ঘোর কলি যুগে যদি
টাকা থাকে কাজে,
মহাজ্ঞানী সাধুজনও
হয়ে পড়ে বাজে।
কোকিলের মতো সুর
দিয়ে তারা গানে,
ক্ষমতার হাত ধরে
সুখে ভাসে বানে।
ঐসব লোকই যেনো
পারে শত কর্ম,
বাকি সব হাধারাম
বুঝে না’কো মর্ম।
ফাঁকি বাজি ফেরি করে
কাটে দিন রজনী,
এরা পায় সাধুবাদ
হয়ে প্রাণ সজনী।
ধ্বংসের মূলে ওরা
থাকে চোখ আড়ালে,
ধরা পড়ে শুধু সৎ
হাত দুটো বাড়ালে।
শিরোনামঃ ডাঃ জহির
কলমেঃ রনী খাতুন
মনটা আমার আকুল হয়ে বলছে কিছু কথা,
বলবো আমি সেই কাহিনি সদ্য পাওয়া যথা।
জহির নামের এম বি এস ভীষণ নামীদামী,
শত-শত রোগীর সেবায় কাটান দিবস যামি।
চট্টগ্রামে বাড়ি তাহার ছেলেমেয়ে বিদেশ,
বৌ বিয়োগে একা তিনি ছিলেন না’তো বেশ।
ভালোবেসে বিবির নামে কিনেছিলেন বাড়ি,
ডিভোর্স নিয়ে তিনি দিলেন অজানাতে পাড়ি।
চার দশকের বেশি সময় সেবা দিয়ে তিনি,
কখন যেন কঠিন রোগে হলেন বিকিকিনি।
দুঃসময়ে ছেলেমেয়ে কেউ আসেনি দ্বারে,
হায়রে কপাল ফোনটা পেয়েও ধরেনি কেউ যারে।
আত্মীয়রাও কেউ আসেনি দেখতে তারে কভু,
যদিও তারা প্রতিষ্ঠিত অর্থ আছে তবু।
বন্ধুরা তার এইসময়ে ছিলেন সবাই পাশে,
শেষ বিদায়ও দিলেন তারা কেঁদে দীর্ঘ শ্বাসে।
অনেক ব্যথা বুকে চেপে বলেন শুধু তারা,
এমন ছেলেমেয়ে যেন হয়না জীবন পাড়া।
কেউ কখনও আপনি বিনে ছেলেমেয়ের তরে,
সবকিছুকে না দিই যেন শুধু তাদের করে।
আমলটাকেও বিকাবোনা স্বপ্নে বিভোর হয়ে,
নইলে ভেঙে নিঃস্ব হয়ে পড়বো এমন ক্ষয়ে।
শিরোনামঃ এই দেশ
কলমেঃ রনী খাতুন
শাসনের নামে ওরা
শোষণের ফাঁদে,
বাঙালির মাথা কেটে
ফেলেছিলো খাদে।
নির্ঘুম নয় মাস
বহু ত্যাগ শেষে,
সবুজের পতাকা
এলো বীর বেশে।
বিজয়ের সম্মানে
হলো বীর গাথা,
বাঙালির এই দেশ
শান্তির কাঁথা।
শিরোনামঃ নিরাকারে
কলমেঃ রনী খাতুন
এই পৃথিবী সৃষ্টি করে
মানুষ দিলে প্রভু,
তোমার হুকুম করতে পালন
ভুল নাহি হয় কভু।
আবার দিলে জ্বিন জাতিরে
শক্তি হাতে কিছু,
পাপের পথে ডাকবে তারা
ছুটে সবার পিছু।
হায়াত মাওত রিজিক ধন আর
নারী নরের বিয়ে,
ভাগ্যটাকেও রাখছো লিখে
কালির আঁচড় দিয়ে।
ফায়সালা সব করছো নিজেই
নিরাকারে বসে,
কাউকে তুমি করছো রাজা
ধরছো আবার কষে।
কারও ঘরে জ্বালছো প্রদীপ
কারও আঁধার কালো,
এটাই তোমার পরীক্ষা আর
এটাই নাকি ভালো।
তোমার তরে গভীর ভারে
পড়ছি আমি বাঁকে,
ওপারেতে দিও আমায়
শান্তি ঝাঁকে ঝাঁকে।
শিরোনামঃ স্পৃহা
কলমেঃ রনী খাতুন
তোমার মতো আমার যদি
থাকতো দুটো চোখ,
আকাশ জুড়ে তারার মেলায়
ভাসতো সুখের থোক।
তোমার মতো থাকতো যদি
আমার দুটো হাত,
কঠোর শ্রমের ফুল বাগিচা
হাসতো দিবস রাত।
তোমার মতো থাকতো যদি
আমার দুটো পা,
মেঠোপথে হেঁটে হেঁটে
যেতাম সোনার গাঁ।
তোমার মতো থাকতো যদি
আমার দুটো কান,
সারাবেলা প্রাণ জুড়াতাম
শুনে পাখির গান।
তোমার মতো থাকতো যদি
আমার মুখে বোল,
মিষ্টি গানে সুর ছড়াতাম
বসে মায়ের কোল।
শিরোনামঃ যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ
কলমেঃ রনী খাতুন
অংকটা ভালো করে
শিখতে কি চাও?
সংখ্যার পরিচিতি
তবে জেনে নাও।
যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ
হিসাবের ভীত,
নামতার মালা পরে
গেয়ে যাও গীত।
শূণ্যের স্থান ভেদে
জেনে নিয়ে মান,
নৌকার দাঁড় টেনে
সুরে গাও গান।
একটার দাম যদি
দশ টাকা হয়,
দুইটাতে বিশ হলে
গুণ তারে কয়।
দুই বা ততোধিক
জিনিসের দাম,
একটাতে নেয়া হলে
ভাগ তার নাম।
একাধিক বস্তু
একসাথে হলে,
অংকের ভাষা তাকে
যোগ নাম বলে।
বিয়োগের কাজ হলো
বাদ দিয়ে দেয়া,
এই হলো গণিতের
সুমধুর পেয়া।
শিরোনামঃ লোভী- ছাগ
কলমপঃ রনী খাতুন
কাঁঠালের পাতা যদি
ছাগলেরা পায়,
অভিকের মতো ছুটে
পেট পুরে খায়।
লোভীরাও তেমনি
টাকা পেলে হায়,
নির্ঘুম ছুটে চলে
জামাহীন গায়।
সমাপ্ত