লেখক, গবেষক ও কথাসাহিত্যিক ড. আ ন ম এহছানুল মালিকী রচিত একক প্রবন্ধগ্রন্থ “বিশ্বজুড়ে একজন বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূস” প্রবন্ধগুলো হৃদয় ছোঁয়া, সুন্দর ও সার্থক মনে হয়।
ড. আ ন ম এহছানুল মালিকী সাহিত্য জগতের নতুন কোন মুখ নয়। তিনি সু-পরিচিত মুখ। তিনি একাধারে একজন লেখক, গবেষক ও কথাসাহিত্যিক। “বিশ্বজুড়ে একজন বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূস” একক প্রবন্ধগ্রন্থটি আহমদ পাবলিশিং হাউজ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত সকল প্রবন্ধই শিক্ষনীয় বিষয়। তাঁর লেখার প্রতিটি প্রবন্ধ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সমকালীন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন যা আমি পাঠ করে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁর প্রবন্ধে শাশ্বত আবেগপ্রবণ হৃদয়গ্রাহী রুপ ধরে তুলেছেন প্রতিটি লেখনীর মাধ্যমে, যা আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বেলায় কম দেখা যায়। তাঁর প্রবন্ধগুলোর মধ্যে সকল প্রবন্ধই অসাধারণ! যেহেতু, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে রচিত লেখনী। তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে খুঁজেছেন ভালোলাগা এবং ভালোবাসার প্রাপ্তি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল প্রবন্ধই ভালোলাগার বিষয় হয়েছে আমার কাছে, যা পাঠকের হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
“ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের উজ্জ্বল মুখ। বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানেরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে জানেন এবং বুঝেন। সময়ের দীর্ঘ পরিভ্রমণে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার প্রধান তথা প্রধান উপদেষ্টার পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সুযোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দিকে দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন স্বপ্ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনের পরিধি এতো ব্যাপক একটি গ্রন্থে তাঁকে আঁকা সম্ভব নয়। তবুও সৃজনকলার পথে নতুনত্ব ধারা অগ্রসর করার জন্য এই সামান্য নৈবেদ্য ‘বিশ্বজুড়ে একজন বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূস’।”
“ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলার ইতিহাসে গত ৮৬ বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শতকরা ৮৩% লোকই ভালো করে জানেন না ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে! ড. আ ন ম এহছানুল মালিকী রচিত ‘বিশ্বজুড়ে একজন বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূস’ প্রবন্ধগ্রন্থটি পাঠ করলে জানতে পারবেন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, সেটা নিশ্চয়ই জানেন? সম্মানসূচক হিসেবে নোবেলের পরে কোন্ পুরস্কারের অবস্থান তা কি জানেন?
প্রাথমিকভাবে সেরা পুরস্কারগুলোর মাঝে ৩ টি পুরস্কার পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো:
১. নোবেল;
২. অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড;
৩. মার্কিন কংগ্রেসনাল অ্যাওয়ার্ড।
পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩ টি পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন ১২ জন! বুঝতেই পারছেন পরের লাইনটা কি হবে, হ্যাঁ, সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মেসিকে নিশ্চয়ই চিনেন! যদি বলি এই লিওনেল মেসি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য, বিশ্বাস হয়, না হলেও সত্য!
‘অলিম্পিক গেমস’ পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বর্তমানে বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ টেন এর ভিতরে থাকেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা খুবই কঠিন, কিন্তু, তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনূস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ।
মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ড. ইউনূসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়েছিলেন।
সারা পৃথিবীর ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের উদ্যোগে এটি করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, তাঁর মাইক্রো ফাইন্যান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীণ ব্যাংককে নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দিয়েছিল।”
আমিও আশা রাখব, সুধী পাঠক মহলে “বিশ্বজুড়ে একজন বাঙালি ড. মুহাম্মদ ইউনূস” প্রবন্ধগ্রন্থটি পাঠ করলে অনেক কিছু জানা ও শেখার ইচ্ছা মনে জাগবে। তাঁর এই একক প্রবন্ধগ্রন্থটিতে বহু ও বিচিত্রমুখী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কিত লেখনী বহির্বিশ্বের নানান দিকের সফলতার বিষয় স্থান পেয়েছে। তবে তাঁর প্রতিটি প্রবন্ধই সুন্দর ও সার্থক মনে হয়। লেখকের অনেক প্রবন্ধ আছে যা থেকে কোটেশন করা যায়, একজন লেখকের লেখায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। লেখক আমাদেরকে আরো সুখপাঠ্য প্রবন্ধগ্রন্থ ভবিষ্যতে উপহার দেবেন সে আশা রইল। পরিশেষে সকল সুধী পাঠক মহলে বিনীত অনুরোধ থাকবে, লেখকের একক প্রবন্ধগ্রন্থটি ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বে আপনার, আমার এবং সকলের সংগ্রহে রেখে দেই। অবশেষে লেখকের এবং গ্রন্থটির জন্য সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।
শুভ কামনায়:
শ ম দেলোয়ার জাহান
স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক
ডাক বাংলা প্রকাশনী
মাদারীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।