শিরোনাম: লোনা জলেরবার্তা
কলমে : দীপিকা হালদার
নোনা জলের বারি রাশি
নীল সাগরের বুকে
আছড়ে পরে জানান দেয়
কে-বা আছো, সুখে…।
পরে পরে মার খাওয়া
দেখে সুখি হই কেউ
সাগর তটে আছড়ে পড়ে
সাগর মনের ঢেউ….!
ছুটছে নদী আপন মনে
নীল সাগরের পানে
কি জানি কি সুখ খুঁজে পায়
সে নদীই কেবল জানে…..!
ভালোবাসা নাকি কর্তব্য থেকে
নদী ছুটে চলছে নিরন্তর
কতো গভীর তাহার ভালোবাসা
কারণে নাকি অবান্তর…!
কিসের তরে সাজায় জীবন
স্রোত রাশি আর ফেনা
জানিনা কি খুঁজে পায়
কিসের এতো লেনা-দেনা…!
পায়ের তলায় থাকে পরে
মুক্তো, নুড়ি রাশি রাশি…
ঢেউয়ের তোড়ে উঠেও আসে
তবুও থাকে পাশাপাশি…!
শিরোনাম : অতিথি নারায়ণ
কলমে : দীপিকা হালদার
অতিথি নারায়ণ এই আমাদের
বাঙালির ধ্যান জ্ঞান
দুয়ারে অতিথি এলে আমরা
দেবো সাধ্যমত মান..!
বিশেষ করে দরিদ্র ঘরে
অতিথির বেশ সমাদর
ধনীর বাড়িতে রোজ মহাভোজ
অতিথির আলাদা নেই কদর…!
আধপেটা খাওয়া দীন দরিদ্র
অতিথি সেবা নিজেই করবে…!
ধনীর বাড়িতে মাইনে ভোগী
যেভাবে যেমন, তাতেই চলবে…!
ধর্ম, আতিথেয়তা সেবা নীতি
সবার সমান হওয়া দায়
টাকায় পাল্টায় রীতি রেওয়াজ
নতুবা বংশ মর্যাদায়…!
জন্ম নীতি মৃত্যু রীতি
একই হয়ে থাকে
বেঁচে থাকার ধরণ বুঝি
টাকা পয়সায় ঢাকে…!
শিরোনাম – প্রত্যয়ের আলো
কলমে – দীপিকা হালদার
বিপদে অস্থির না হয়ে
চিত্ত রাখো ধীর
অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে
মনকে করো স্থির….।
বাঁধা পরলে ভয় পেওনা
শান্ত রেখো শির,
হঠাৎ করে ভাবা-বেগে
কাজ করে না বীর…।
বিপদ এলে ধৈর্য্য ধরো
সাহস হারিও না
ভেবে চিন্তে কাজ করো
পিছিয়ে নিওনা পা…!
চলার পথে আসতে পারে
অনেক বাঁধা বিঘ্ন
সকল বাঁধা তুচ্ছ করে যে
অভীষ্টে পৌঁছায় সে-ই শত্রুঘ্ন….!
শিরোনাম: ধনী গরিব
কলমে : দীপিকা হালদার
ধনীর ঘরে জন্ম মানেই
আলালের ঘরের দুলাল
গরিব তো খেটেই খায়
এটাই তো হালাল…..!
পরে পরে মার খাওয়া
যেনো গরিবের কাজ
গরিব আত্মীয় পরিচয় দিতে
ধনীর মাথায় পরে বাজ ….!
ছুটবে গরিব আপন মনে
পেটের টানে টানে
এদের সাথে কথা বলতে
ধনীর লাগে মানে…..!
কর্তব্যের দায়ে মাঠে ঘাটে
গরিব চলছে খেটে খেটে
কতো গরিবের প্রাণ চলে যায়
ধনীর পিছনে হেঁটে হেঁটে …!
কিসের জন্য জীবনে যুদ্ধ
ধনী গরিবের লেনা-দেনা৷
ধনীর সুখ উপচে পরে পা’য়
পৃথিবী যেনো, ওদের কেনা..!
পায়ের তলায় পিষে রাখে
গরিব আত্মীয় পরিজন …
গরিবদের কি থাকতে নেই
মানসম্মান বা মন… !
এই সমাজে গরীব মানুষ
অনাহারে মরে ধুঁকে ।
রকমারি অতিরিক্ত নানা খাবার ধনী ডাস্টবিনে ফেলে সুখে..!
অনাহারে কাটে গরীবের জীবন
চেনেনা সুখ কাকে বলে
সময় মতো জুটেনা খাবার
শিক্ষার অভাবে জীবন বিফলে….
শিরোনাম : রঘুকাকাদের স্নেহ
কলমে : দীপিকা হালদার
বার্ধক্যের সঙ্গী রঘু-কাকার
সন্তান সম কয়েকটা গরু
সন্তানেরা ছাড়লো তাকে
তার গৃহ এখন মরু…!
বড়ো হয়ে সন্তান তার
সহজেই ছেড়ে গেলো ঘর
গরু গুলো কিছুতেই
হবে না তার পর…!
সামান্যই জমি জায়গা
অভাবের সংসার তার
রঘুকাকা তবু কিছুতেই
মেনে নেন নি হার…!
অনাহারে তার কাটে দিন
তবু গরুর যত্ন নেন
ঘুরে ঘুরে ঘাস লতাপাতা
কেটে খুঁজে খুঁজে দেন..!
সন্তান স্নেহে গরুগুলো
প্রতি পালন করে
কথা ওরা নাইবা বলুক
তবু বুদ্ধি ওরাও ধরে…!
রঘুকাকার এক ডাকে
কাছে চলে আসে
ঝড় জলে বৃষ্টি বাদলে
ওরা একই জলে ভাসে….!
শিরোনাম : নারী তোমারে নমি
কলমে : দীপিকা হালদার
প্রতিটি সফল ও অসফল নারীর জন্য
সর্বদা রাখি সংগ্রামী শুভেচ্ছা
রাগ, দুঃখ, অভিমান ভালোলাগা,
ভালোবাসাকে মনের কোণায়
লুকোতে আমি শিখেছি,
ভাঙা গড়ার নাট্যমঞ্চে নিজেকে
সেরা এক অভিনেত্রীর
অমূল্য স্বীকৃতিও দিয়েছি !
গড়তে হবে আমাকে,
লড়তেই হবে আমাকে
ভাঙতে হবে জীবনের নতুন সিঁড়ি
আমরা যারা ভেঙে গিয়ে ও
হেসে খেলে ভালো থাকার গল্প করি
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন নতুন
প্রতিবন্ধকতা ডিঙোতেই হবে আমাকে
বত্রিশটা জটিলতা নিয়ে ও
বত্রিশটা দাঁত বার করে
মাসের ত্রিশটি দিনই
হেসে বলতেই হবে,” ভালো আছি ”
নারী, হ্যাঁ এটা আমরাই পারি !
নারীর প্রতিটি দিন এমন না হোক
কিছু কিছু দিন হোক না হয় অন্যরকম ..!
#টাপুর_টুপুর
– দীপিকা হালদার
টুপুর টাপুর বর্ষা যখন
পরে আমার বারান্দার ছায় ,
বেখেয়ালি মন তখন আমার
কেবল তোমায় খুঁজে যায়…।
কিছু স্বপ্ন, কিছু আশায়
অদৃশ্য পিছুটানে মরি
মন আকাশে কেবল উড়াই,
নানান রঙের ঘুড়ি.…।
বয়সের কথা ভুলে গিয়ে ,,,
চলো কিছুটা ছুটি ,
চলে গেছে যেদিন আমার
সকল বাঁধন টুটি…।
নিখোঁজ হলো সুখের সেদিন,
হাজারো স্বপ্নের ভীড়ে
ফিরবে কি সু’দিন আবার
সেই সুখের নীড়ে …?
রঙিন ঘুড়ি উড়ে গেলো,
রঙিন সুতো ছিঁড়ে,
চলো আবার নাও ভিড়াই
স্বপ্ন নদীর তীরে … !